ফরেনসিক সায়েন্স/বিজ্ঞানঃ
ফরেনসিক সায়েন্স বলতে আমরা যা বুঝি তা হল, অপরাধ বা দুর্ঘটনাস্থল থেকে নানারকম সূত্র বা ক্লু সংগ্রহ করা। এক কথায় ময়না তদন্ত বলা জেতে পারে। ফরেনসিক সায়েন্স দুই প্রকার।।
১। মেডিকেল ফরেনসিক।
২। ডিজিটাল ফরেনসিক।
# মেডিকেল ফরেন্সিকঃ
মেডিক্যাল ক্যাটেগরিতে কাজ করা বুঝায়, মৃতদেহ পরীক্ষা করে মৃত্যুর সময়, তারিখ, মৃত্যুর কারণ, মৃতদেহে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না ইত্যাদি বের করা এই মেডিক্যেল ফরেনসিকের কাজ।
# ডিজিটাল ফরেনসিকঃ
কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে বা মৃতদেহ পরীক্ষা করার পাশাপাশি তার কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনেরও টিউনমর্টেম করা হয়। অর্থাৎ
* মিত্যুর সময়ে/আগে ভিক্টিমের সাথে কারো যোগাযোগ হয়েছিল কি না।
* ভিক্টিমের সংরক্ষিত ডাটা, কল লিস্ট, রেকর্ড, ফোন বুক, সব কিছুই খুটিয়ে দেখা হয়।
* ভিক্টিম কারো সাথে ইমেইল আদান প্রদান করে থাকলে তা দেখা হয়।
* ভিক্টিম সুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা করেছে তার কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে সব তথ্য রিকভারি করা হয়। (ডিলেট করা অডিও, ভিডিও, কল লিস্ট, ইমেইল এমন কি ইউজার নেম পাসওয়ার্ড)। এগুলো ডিজিটাল ফরেন্সিল নামে পরিচিত।
অনাকিঙ্খিত দুর্ঘটনায় করনিয়ঃ
ডিজিটাল ফরেনসিকে নিযুক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে সহযোগীতা, সঠিক তথ্য ও দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ার জন্য যা করা প্রয়োজন।
* কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনের সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।
* কেউ যেন কোন কিছু মুছতে বা নতুন কিছু ইন্সটাল করতে না পারে সেদিক লক্ষ রাখতে হবে।
* দ্রুততার সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির হাতে পৌঁছে দিতে হবে। (কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন, মেমরি কার্ড, পেন্ড্রাইভ)
সারাংশঃ
কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোন দিয়ে যাই করা হোক না কেন সব কিছুরই প্রমান থেকে যায়।